বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ড ভ্রমণের খরচ কিছুটা বাড়তে চলেছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডের ভিসার নতুন ফি কার্যকর হবে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই খবরটি নিশ্চিত করেছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য এখন থেকে আরও বেশি টাকা দিতে হবে।

কেন এই পরিবর্তন?
থাই দূতাবাস জানিয়েছে, এই ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নতুন অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম চালুর সঙ্গে সম্পর্কিত। ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদনকারীরা কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে অনলাইনে ভিসা ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এই অনলাইন ব্যবস্থাটি ভিসা প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন ভিসার ফি তালিকা
যারা ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত তাদের ভিসার আবেদন এবং ফি জমা দেবেন, তারা পুরোনো ফি-তেই আবেদন করতে পারবেন। তবে ১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নতুন ফি প্রযোজ্য হবে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিসার নতুন ফি উল্লেখ করা হলো:
- সিঙ্গেল ট্রানজিট ভিসা: ৩,৬০০ টাকা
- ডাবল এন্ট্রি ট্রানজিট ভিসা: ৭,২০০ টাকা
- টুরিস্ট ভিসা: ৪,৫০০ টাকা
- মাল্টিপল টুরিস্ট ভিসা: ২২,৫০০ টাকা
- এক বছরের নন-ইমিগ্রান্ট ভিসা: ২২,৫০০ টাকা
এছাড়াও, ও-এক্স, ডেস্টিনেশন থাইল্যান্ড ভিসা এবং লং টার্ম রেসিডেন্ট (এলটিআর) ভিসার ফিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাসপোর্ট ইস্যু এবং অন্যান্য লিগালাইজেশন ফি এখন ২,০০০ থেকে ৬,৮০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমের নিয়মাবলী
দূতাবাস জোর দিয়ে বলেছে যে, ফি অবশ্যই নির্ধারিত পরিমাণে এবং একবারে পরিশোধ করতে হবে। ভুল বা আংশিক পেমেন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এই ক্ষেত্রে কোনো অর্থ ফেরত দেওয়া হবে না। তাই আবেদনকারীদের পেমেন্ট করার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
ভ্রমণের পরিকল্পনায় নতুন ভাবনা
থাইল্যান্ডের ভিসার ফি বৃদ্ধির এই খবরটি তাদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, যারা আগামী দিনে থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে বা ব্যবসার কাজে যেতে চাইছেন। যেহেতু ভ্রমণের বাজেট এখন কিছুটা বাড়ছে, তাই ভ্রমণের অন্যান্য খরচ যেমন হোটেল, যাতায়াত, এবং স্থানীয় খরচের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। অনেকেই এখন ভ্রমণের আগে আরও বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে শুরু করেছেন, যাতে এই অতিরিক্ত খরচ সহজেই ম্যানেজ করা যায়।