আমেরিকায় কাজ করার স্বপ্ন দেখেন? তাহলে আপনার জন্য রইলো বিস্তারিত তথ্য। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে আপনি আমেরিকায় কাজ করতে যেতে পারেন।
কাজের ভিসার ধরন:
- দক্ষ কর্মী ভিসা (H-1B):
- বিশেষ পেশায় দক্ষ কর্মীদের জন্য এই ভিসা।
- মার্কিন কোম্পানির স্পন্সরশিপ প্রয়োজন।
- প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার ইত্যাদি পেশার জন্য প্রযোজ্য।
- অস্থায়ী কর্মী ভিসা (H-2A এবং H-2B):
- কৃষি (H-2A) এবং অকৃষি (H-2B) খাতে অস্থায়ী কাজের জন্য এই ভিসা।
- মার্কিন কোম্পানির স্পন্সরশিপ প্রয়োজন।
- ইন্ট্রাকম্পানি ট্রান্সফার ভিসা (L-1):
- বহুজাতিক কোম্পানির কর্মীদের জন্য, যারা মার্কিন শাখায় স্থানান্তরিত হতে চান।
- কোম্পানির সাথে কমপক্ষে এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- শিক্ষার্থী ভিসা (F-1) এবং কাজের অনুমতি:
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কাজের অনুমতি পেতে পারেন।
- ক্যাম্পাসের ভেতরেও কাজের সুযোগ থাকে।
- গ্রিন কার্ড (স্থায়ী বাসিন্দা):
- স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজের অনুমতি দেয়।
- পারিবারিক স্পন্সরশিপ, কর্মসংস্থান-ভিত্তিক স্পন্সরশিপ এবং লটারির মাধ্যমে পাওয়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- আমেরিকার কাজের ভিসা প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
- প্রতিটি ভিসার আলাদা নিয়মকানুন রয়েছে।
- বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অভিবাসন আইনজীবীর সহায়তা নিন।
- মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং USCIS ওয়েবসাইট থেকে হালনাগাদ তথ্য জানুন।
এই তথ্যগুলো আপনাকে আমেরিকায় কাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত তথ্য:
- আমেরিকায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
- আমেরিকার শ্রম বাজারে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে, যেমন:
- তথ্য প্রযুক্তি (আইটি)
- স্বাস্থ্যসেবা
- প্রকৌশল
- অর্থনীতি
- ব্যবস্থাপনা
- আপনি বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টালে আমেরিকার কাজের সুযোগ খুঁজতে পারেন।
উপদেশ:
- আমেরিকায় কাজের ভিসার জন্য আবেদন করার আগে, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন।
- বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি এবং অভিবাসন আইনজীবীর সহায়তা নিন।
- মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট এবং USCIS ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত তথ্য দেখুন।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার কাজে আসবে।