থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এর মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং উষ্ণ আতিথেয়তা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। আপনি যদি থাইল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে ভিসা সম্পর্কিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সাধারণ তথ্য
- রাজধানী: ব্যাংকক
- স্থানীয় সময়: জিএমটি + ৭
- টেলিফোন কোড: + ৬৬
- ব্যাংকের সময়: শনিবার ও রবিবার বন্ধ
- মুদ্রা বিনিময় হার: ১ মার্কিন ডলার = ৩৫.৮৮ থাই বাত
- দূতাবাসের ঠিকানা: ১৮ ও ২০, মাদানি অ্যাভিনিউ, বারিধারা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
থাইল্যান্ড ই-ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সাধারণ কাগজপত্র:
- কমপক্ষে ৭ মাস মেয়াদসহ পাসপোর্ট এবং আগের পুরনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)। পুরনো পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে জিডি কপি এবং নোটারি করা অনুবাদ প্রয়োজন।
- গত ৬ মাসের মধ্যে তোলা ২ কপি সাম্প্রতিক ছবি (শুধুমাত্র সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, ছবির মাপ ৩৫ মিমি X ৪৫ মিমি, ম্যাট পেপার)।
- গত ৬ মাসের ব্যক্তিগত/কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট (ব্যক্তিগতভাবে কমপক্ষে ৬০,০০০ টাকা এবং পরিবারের জন্য ১,২০,০০০ টাকা থাকতে হবে)। পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত ব্যাংকে এই পরিমাণ টাকা থাকতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।
- সর্বশেষ ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল, ৩ মাসের বেশি পুরনো নয়)।
- সক্রিয় যোগাযোগ নম্বর, বিকল্প ফোন নম্বর এবং সক্রিয় ইমেল ঠিকানা প্রদান করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য:
- নোটারি করা নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্সের কপি (ইংরেজি অনুবাদ)।
- লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম অফ আর্টিকেল, যদি আবেদনকারীর নাম ট্রেড লাইসেন্সে উল্লেখ না থাকে/ফর্ম XII।
- অফিস প্যাড/কোম্পানির লেটার হেড প্যাডের খালি পৃষ্ঠা।
- ভিজিটিং কার্ড।
চাকরিজীবীদের জন্য:
- নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) (কর্মস্থলের অফিসিয়াল সেলফোন এবং টিঅ্যান্ডটি নম্বরসহ)।
- বাধ্যতামূলক অফিসিয়াল আইডি কার্ডের কপি।
- ভিজিটিং কার্ড।
- বেতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অগ্রাধিকার দেওয়া হয়)। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট (সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট) এর ক্ষেত্রে, গত ০৩ মাসের বেতন সার্টিফিকেট/পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
- ডাক্তারদের জন্য বিএমডিসি সার্টিফিকেট।
- আইনজীবীদের জন্য বার কাউন্সিল সার্টিফিকেট।
- অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য অবসর সার্টিফিকেট।
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য জিও প্রয়োজন, সাথে ইংরেজি অনুবাদ করা নোটারি প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের জন্য:
- ছাত্র পরিচয়পত্রের কপি।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সুপারিশ পত্র বা ছুটির পত্র।
- জন্ম সনদ (শুধুমাত্র শিশু এবং বাচ্চাদের জন্য)।
অন্যান্য:
- বিবাহ সনদ বা নিকাহনামা বা বিবাহের চুক্তিপত্র (যদি আবেদনকারীর পাসপোর্টে স্ত্রীর নাম উল্লেখ না থাকে)।
- কনস্যুলার কর্মকর্তারা প্রয়োজনে আরও অতিরিক্ত নথিপত্র চাইতে পারেন।
চিকিৎসার জন্য:
- চিকিৎসার ক্ষেত্রে, থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের কপি এবং প্রযোজ্য হলে, আবেদনকারী প্রথমবার ভ্রমণকারী হলে স্থানীয় ডাক্তার/হাসপাতালের একটি মূল চিঠি।
- স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃক জারি করা রোগীর মেডিকেল রিপোর্টের সাম্প্রতিক কেস সারসংক্ষেপ;
- রোগীর অবস্থা এবং থাইল্যান্ডে স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে থাইল্যান্ডের গ্রহণকারী হাসপাতাল থেকে চিকিত্সার জন্য সাম্প্রতিক স্বীকৃতিপত্র/আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি। চিঠিতে রোগীর সাথে ভ্রমণকারী ব্যক্তির নাম এবং সম্পর্ক উল্লেখ করতে হবে, যারা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ভ্রমণ করবেন;
- এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বুকিং নিশ্চিতকরণ পত্র (যেমন মেড লেটার এবং অ্যাকশন প্ল্যান)।
ভিসা ফি: ৬,০০০ টাকা (অফেরতযোগ্য)
গুরুত্বপূর্ণ নোট:
- ডেলিভারি সময় প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ দিন বা দূতাবাসের উপর নির্ভর করে।
- ভিসার মেয়াদ ৩ মাস, একক প্রবেশ।
- ভিসার হার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তন হতে পারে।
- ভিসা প্রদানের অধিকার দূতাবাসের হাতে সংরক্ষিত।