এপ্রিল, ২০২৫
সৌদি আরব আসন্ন হজ মৌসুমকে সামনে রেখে তাদের ভিসা নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হলো অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, মূলত উমরাহ ভিসা, ব্যবসায়িক ভিসা এবং পারিবারিক ভিসার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর ফলে ১৪টি দেশের নাগরিকরা সাময়িকভাবে এই ভিসাগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞার কারণসমূহ:
সৌদি আরব এই পদক্ষেপ নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, অনেক ব্যক্তি হজ পালনের উদ্দেশ্যে না গিয়ে বরং অবৈধভাবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য ব্যবসা বা পারিবারিক ভিসা ব্যবহার করতেন। এর ফলে স্থানীয় শ্রমবাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়তো। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হজ মৌসুমে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রধান লক্ষ্য।
যে দেশগুলোর নাগরিকদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য:
যে ১৪টি দেশের নাগরিকদের উপর এই সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে, সেগুলো হলো: পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন।
ভিসা প্রত্যাশী ও ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা:
সৌদি কর্তৃপক্ষ ভিসা প্রত্যাশী এবং ভ্রমণকারীদের নতুন এই নিয়ম মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে সৌদি আরবে অবস্থান করেন, তবে ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর সম্ভাবনা:
আশার কথা হলো, সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে জুনের মাঝামাঝি সময়ের পর স্বাভাবিক ভিসা প্রক্রিয়া পুনরায় চালু হতে পারে। এর ফলে যারা হজ বা অন্য কোনো বৈধ উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক, তারা তখন আবার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।