জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্রমণকারীদের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাগেজ বিধিমালা জারি করেছে, যা পর্যটক এবং অপর্যটক যাত্রীদের জন্য শুল্ক সুবিধা ও রেয়াত প্রদান করে। বিধিমালাগুলো হলো:
- যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ২০১৬
- বিমানযাত্রী Unaccompanied ব্যাগেজ (রপ্তানি) বিধিমালা, ১৯৯৯
- পর্যটক ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা, ১৯৮১
শুল্ক ঘোষণা:
শুল্ক আরোপযোগ্য পণ্য বহনকারী যাত্রীদের অবশ্যই পণ্যের বিবরণ ও পরিমাণ উল্লেখ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ব্যাগেজ ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।
অপর্যটক যাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
২০১৬ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, আকাশ ও সমুদ্রপথে আগত অপর্যটক যাত্রীরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারেন:
- ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, বই, ম্যাগাজিন এবং পেশাদার সরঞ্জাম শুল্কমুক্ত আমদানি করা যাবে।
- নির্দিষ্ট কিছু পণ্য (যেমন: মোবাইল ফোন ২টি এবং অন্যান্য আইটেম ১টি করে) শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই আনা যাবে।
- সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বা ২০০ গ্রাম রৌপ্য (১২টির বেশি অলংকার নয়) শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করা যাবে।
- স্থলপথে আগত যাত্রীরা ৪০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত পণ্য আনতে পারবেন।
- ব্যাগেজ বিধিমালার শিডিউল-২ এ উল্লেখিত গৃহস্থালী ও ব্যক্তিগত দ্রব্য শুল্ক পরিশোধ করে আনা যাবে।
- সকল যাত্রীকে শিডিউল-১ অনুযায়ী ঘোষণাপত্র পূরণ করতে হবে।
পর্যটক যাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
যারা ২৪ ঘণ্টার বেশি এবং ৬ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করেন, তারা পর্যটক হিসেবে গণ্য হবেন। পর্যটকরা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র, জুয়েলারি, ক্যামেরা, এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারবেন।
বিমানযাত্রীদের জন্য সুবিধাদি:
১৯৯৯ সালের বিধিমালা অনুযায়ী, যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে জামাকাপড়, ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং উপহার সামগ্রী আনা যাবে। এর জন্য কিছু শর্ত প্রযোজ্য:
- যাত্রা শুরুর ৩ ঘণ্টা আগে ব্যাগেজ জমা দিতে হবে এবং স্ক্যান করাতে হবে।
- IATA স্ট্যান্ডার্ড শিপারস ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে।
- এয়ারলাইন্স কর্মকর্তাকে জানাতে হবে।
ব্যাগেজ খালাস প্রক্রিয়া:
- গ্রিন চ্যানেল: শুল্কমুক্ত পণ্যের জন্য।
- রেড চ্যানেল: শুল্কযোগ্য পণ্যের জন্য।
বাণিজ্যিক পরিমাণ পণ্যের ক্ষেত্রে:
বিধিমালা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত পণ্য আনলে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য আটক করবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শুল্ক পরিশোধ করে খালাস করা যাবে।