১. দেশের ভাষা জানুন:
- আপনি যে দেশে কাজ করতে যেতে চান, সেই দেশের ভাষা জানাটা খুবই জরুরি।
- যদি আপনি ভাষা না জানেন, তাহলে সেখানে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।
- তাই আগে থেকে ভাষা শিখে গেলে আপনার কাজ পেতে সুবিধা হবে।
২. কাজের ভিসা:
- কাজের জন্য বিদেশে যেতে হলে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের ভিসা লাগবে।
- এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং এর জন্য কিছু নিয়মকানুন আছে যা আপনাকে জানতে হবে।
৩. কাজের খোঁজ:
- বিদেশে কাজ খোঁজার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং রিক্রুটিং এজেন্সি আছে।
- আপনি আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে বের করতে পারেন।
- এক্ষেত্রে, দেশের কিছু জব পোর্টালে নিয়মিত খেয়াল রাখতে পারেন।
৪. কাগজপত্র তৈরি রাখা:
- আপনার পাসপোর্ট, ভিসার আবেদনপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র, মেডিকেল রিপোর্ট, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি রাখতে হবে।
৫. আর্থিক প্রস্তুতি:
- বিদেশে থাকার খরচ, যেমন – খাবার, বাসস্থান, যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য আপনার কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে।
৬. ভ্রমণের প্রস্তুতি:
- ভিসার অনুমোদন পেলে বিমানের টিকিট কাটুন এবং আপনার ভ্রমণের তারিখ নিশ্চিত করুন।
- আপনার ভ্রমণ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র, যেমন – ভিসা, পাসপোর্ট, টিকিটের কপি, হোটেলের রিজার্ভেশন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন।
৭. স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
- বিদেশে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।
- কিছু দেশে স্বাস্থ্য বীমা করানো বাধ্যতামূলক।
৮. স্থানীয় নিয়মকানুন জানা:
- আপনি যে দেশে যাচ্ছেন, সেখানকার স্থানীয় নিয়মকানুন এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নিন।
৯. দূতাবাসের সাহায্য:
- বিদেশে কোনো সমস্যায় পড়লে আপনার দেশের দূতাবাসের সাহায্য নিতে পারেন।
কিছু অতিরিক্ত টিপস:
- বিদেশে যাওয়ার আগে ভালোভাবে গবেষণা করুন এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করুন।
- কোনো এজেন্টের মাধ্যমে গেলে তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন এবং তাদের দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করুন।
- যেকোনো প্রয়োজনে আপনি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সাহায্য নিতে পারেন।